শেষ মুহুর্তে কম দামে কোরবানির পশু

শেষ মুহুর্তে কম দামে কোরবানির পশু

দরজায় কড়া নাজছে কোরবানি ঈদ। চলছে শেষ মুহুর্তের কেনাকাটা। পছন্দের পশু কিনতে সবসময় হাটের ওপর নির্ভর করা হয়। তবে এবার অনলাইনেও বেশ জমে উঠেছে পশুর হাট।

ঈদের কেনাকাটার শেষ মুহুর্তে এসে অনলাইনে পশু কেনাকাটার হার বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এই প্লাটফর্মে পশুর দাম তুলনামূলক কম বলেও দাবি তাদের।

ঢাকার গরুর হাটগুলো শুরু হলে অনলাইনে বেচাকেনা কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু সাধারণ হাটের চেয়ে ই-কমার্স শপগুলোতে বেচাকেনা দ্বিগুণ হয়েছে। দাম কম হওয়ায় ই-কমার্স শপগুলোর বেচাকেনা বেড়েছে।

এ বিষয়ে ই-ক্যাবের সেক্রেটারি জেনারেল জনাব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা আসলে ক্রেতাদের সামর্থের কথা বিবেচনা করে গরু সংগ্রহে জোর দিয়েছি। আমাদের যারা খামারি ও উদ্যোক্তা রয়েছেন তাদের আমরা একটি মূল্যসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছি। ফলে দাম বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই। আমাদের এ মূল্যসীমা সারা দেশে পশুর বাজারের ওপর প্রভাব ফেলেছে। এটি একটি ইতিবাচক দিক। এ মূল্যসীমার কারণে এবারে গরুর দাম বাড়াতে পারবে না অন্যরা’।

এছাড়া বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ শাহ ইমরান বলেন, আমাদের বেশিরভাগ গরুই ডিজিটাল স্কেলে ওজন মাপা। যেসব গরু বাইরে থেকে আসবে তাদের গরুগুলো ঈদের আগের দিন ওজন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। সুতরাং এখানে কোনো প্রতারণার সুযোগ নেই। ডিএনসিসি’র ডিজিটাল হাট ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের জন্য একটি আস্থার জায়গা তৈরি করেছে।

গরুহাট ডটকমের প্রধান নির্বাহী জনাব মোহাম্মদ শাহীন বলেন, আমরা প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে গরু কিনছি। ফলে একদিকে কৃষক উপকৃত হচ্ছে অন্যদিকে ক্রেতারা সাধ্যের মধ্যে সেরা গরু পাচ্ছে। উপরন্তু, অনলাইনে হাসিল না থাকার কারণে ক্রেতারা আরও বেশি উৎসাহিত হচ্ছে। করোনার ব্যাপার তো আছেই।

আপনি আরও পড়তে পারেন